বর্তমান জেনারেশনের দোষ দিয়ে দিলেন। আপনার নানী-দাদীরা কিভাবে বাচ্চা-কাচ্চা পেয়েছেন? তারা কি গাছ থেকে বাচ্চা-কাচ্চা সংগ্রহ করেছেন, নাকি ইগল পাখি তাদেরকে বাচ্চা-কাচ্চা দিয়ে গেছে?

সবাই সেক্স এর ব্যাপারে সক্রিয়, পার্থক্য শুধু প্রকাশ করার ভঙ্গি। পশিমা দেশগুলিতে সবাই সেক্স এর ব্যাপারে খোলাখুলি। অথচ, জনসংখা বৃদ্ধির রেকর্ড আমাদের এই ভারত উপমহাদেশে, যেখানে সেক্স একটি নিষিদ্ধ বিষয় হিসাবে পরিচিত। সবাই সক্রিয়, তবে প্রকাশ করতে সমস্যা।

আমাদের নানী-দাদীর আমলে, মেয়েরা ১৫ আর ছেলেরা ২০ বছেরের নিচে বিয়ে হয়ে যেতো। বিবাহিত দম্পতির সেক্স নিয়ে কেউ ভাবতো না। এখনকার যুগে বিয়ে জিনিসটা ইচ্ছে করেই জটিল বানিয়ে ফেলেছে। এখন ছেলেরা ৩০ এর নীচে বিয়ে করতে পারে না। প্রেম করে, দৈহিক চাহিদা মিটিয়ে নেয়।

বর্তমান জেনারেশনের বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড সেক্স ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না, এই কথাটা সত্য নয়। এমন ছিল আগের জেনারেশনে। জ্বী, আপনি যাদেরকে বর্তমান জেনারেশন বলছেন, আমি তাদের বাবা-মায়ের কথা বলছি।

আগের জেনারেশনে প্রেমিক প্রেমিকার জন্য বিনোদনের অভাব ছিলো। এখন যেমন অমুক পার্ক, তমুক শপিং মল, এই সিনেমা হল, সেই পিজা, অমুক ক্লাব এমন বিভিন্ন ধরনের ব্যাবস্থা আছে। আগেও এমন ব্যাবস্থা ছিল, কিন্তু সেটা ছিল সীমিত এবং অল্প সংখ্যক মানুষের সেই সামর্থ্য ছিলো। এখন প্রায় সবাই এমন ধরনের বিনোদন পেতে পারে। এজন্যই, বর্তমান জেনারেশনের প্রেমিক প্রেমিকা এসব যায়গায় দেখা যায়।

আগের জেনারেশনের এসব বিনোদন ছিলো না। গ্রামে তো একেবারে কিছুই ছিলো না। গ্রামের প্রেমিক প্রেমিকা বাঁশ বাগানে দেখা করতো, তাও আবার রাতে। এক জোড়া তরুণ-তরুণী রাতে নির্জনে বাঁশ বাগানে গিয়ে, সেক্স ছাড়া আর কি করার থাকে? আগের জেনারেশনের যারা গ্রামে থেকেছেন, যাদের প্রেম করার আভিজ্ঞতা আছে, তাদের প্রায় সকলেরই বাঁশ বাগানে সেক্স এর অভিজ্ঞতা আছে।

ওদিকে বর্তমান প্রজন্মের অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা পাবেন, যারা কফি শপ ও সিনেমা হল পর্যন্ত গিয়েই শেষ। সেক্স পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। আগের জেনারেশনের মানুষের সেক্স এর ব্যাপারে রাক-ঢাক ছিলো ঠিকই, কিন্তু তারা বর্তমান প্রজন্মের চেয়ে সেক্স এর ব্যাপারে বেশী সক্রিয় ছিল। কিন্তু বদনাম হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের।

বর্তমান প্রজন্মের সমস্যা অন্য যায়গায়। সেটা হল – দুজনের মধ্যে মোটেও প্রেম ভালোবাসা নেই, তারা একে অপরের সাথে আভিনয় করে, দৈহিক চাহিদা মিটিয়ে নেয়। আগের প্রজন্মের মানুষ সৎ ছিলো। তারা এমন ছলনা করতো না।